ভারতে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট

দিনে দিনে আমাদের দেশে হৃদরোগ স্বাস্থ্যের এক বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার চেয়েও বেশি উদ্বেগজনক ব্যাপার হল এই রোগীদের একটি বড় অংশই তরুণ এবং তাদের বেশীরভাগই হার্ট ফেলিয়র সহ হার্টের নানান প্রাথমিক এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শেষ পর্যায়ের রোগে ভুগছে। হার্টের ফেলিয়র এমন একটি পর্যায় যেখানে শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য হার্ট বা হৃদয় পর্যাপ্তভাবে কাজ করতে পারে না। হার্টের সমস্যায় রোগী সহজেই কান্তি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তরল জমে শরীর ফুলে যায়। কিছু সময়ের জন্যে ওষুধ দিয়ে করানো গেলেও একদম শেষ পর্যায়ে এসে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যায় এবং রোগী কথা বলতে পারে না, কয়েক কদম হাঁটতে অসুবিধা হয় বা সোজা হয়ে শুতে কষ্ট অনুভব করে।

তবে এ জাতীয় রোগীদের কিছু আশা রয়েছে এবং তাদের চিকিৎসার জন্য গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড বা সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হল হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন। আর এই হার্টের উৎস হলো ব্রেইন ডেড রোগী যিনি সাধারণত কোমাতে আক্রান্ত রোগী যার সুস্থ হওয়ার কোনও সুযোগ নেই, তাদেরই হার্ট, ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য ব্যবহার করা হয়। যদি এইরকম রোগীর হার্ট স্বাভাবিক এবং কার্যক্ষম হয় তবে এটি লাস্ট স্টেজের হার্ট ফেলিয়রে আক্রান্ত রোগীর হার্টের সাথে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। তাতে করে এই রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে এবং একটি সাধারণ জীবনে ফিরে আসতে পারে।

যেসব রোগীদের খুব গুরুতরভাবে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন কিন্ত কোনও হার্ট পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের জন্য ভেন্ট্রিকুলার অ্যাসিস্ট ডিভাইস বা কৃত্রিম হৃদয় নামক যান্ত্রিক পাম্পিং ডিভাইস রয়েছে। এই ছোট ছোট পাম্পগুলি দেহের ভিতরে ঢোকান হয় যাতে করে হার্টের সকল কার্যকলাপ সঠিকভাবে সম্পাদিত হয়। পাম্পগুলোকে শক্তি যোগায় ছোট ছোট কিছু ১২ ভোল্টের রিচার্জেবল ব্যাটারি। ব্যাটারি এবং পাম্পের ছোট একটি কন্ট্রোলার শরীরের বাইরে থাকে এবং নাভির উপরের চামড়ার মধ্য দিয়ে একটি ছোট তারের মাধ্যমে ভিতরে পাম্পের সাথে সংযুক্ত থাকে। ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য অঙ্গ পাওয়া পর্যন্ত এই পাম্পগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এখন এই পাম্পিং ডিভাইসগুলো আরো দৃঢ়, কার্যকর, নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠেছে। তাই এই হার্ট পাম্পিং ডিভাইসগুলো খুব সহজেই ট্রান্সপ্ল্যান্টের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

কৃত্রিম হার্ট ইমপ্লান্টেশন করার জন্য প্রথমেই রোগীর মূল্যায়ন করতে হবে। অস্ত্রোপচারের পরে, এই রোগীরা খুব সহজেই অল্প কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে তার সাধারণ জীবনে ফিরে আসতে পারেন।

ভারতের অল্প কিছু হসপিটালগুলোর মধ্যে নারায়াণা হেলথ অন্যতম যাদের একটি সক্রিয় ট্রান্সপ্ল্যান্ট প্রোগ্রাম চালু আছে। এই বিভাগে আছে ভারতের শীর্ষ কার্ডিওলজিস্ট এবং কার্ডিয়াক সার্জেন যারা ট্রান্সপ্ল্যান্টের এই জটিল কাজটি করতে বিশেষত অভিজ্ঞ। আমাদের বিশেষজ্ঞরা ট্রান্সপ্ল্যান্টের আগে এবং পরে সর্বোচ্চ স্তরের যত্ন এবং সহায়তা করে থাকেন। এছাড়াও নারায়াণা হেলথ ২০০৮ সালে এশিয়া মহাদেশে প্রথম আধুনিক ৩য় প্রজন্মের ডিভাইস ইমপ্ল্যান্টেশন করার কৃতিত্ব অর্জন করে।

  • উদ্ভাবন / সৃজনশীলতার মাধ্যমে বৃদ্ধি:
    নতুন ইন্ডাস্ট্রি, নতুন পণ্য এবং সেবার জন্য অল্প কিছু মানুষের চিন্তা ভাবনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়ে একটি চিন্তাশীল প্রতিষ্ঠান সমস্ত কর্মীদের মাঝে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে।
  • মুনাফা বৃদ্ধি
    পরিচালনা খরচ সাশ্রয়, সাথে সাথে নতুন পণ্য, সার্ভিস এবং শাখা থেকে আগত সেলসের জন্য কোম্পানি মুনাফা বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।
  • উচ্চতর ব্যবসায়িক মানঃ
    লাভ এবং ব্যবসায়িক মানের মধ্যে যোগসূত্রটির অর্থ হ’ল কোনও কোম্পানির প্রফিটের একটি নতুন লেভেল তৈরির মুহুর্ত যার সাথে ব্যবসায়িক মান/বিজনেস ভ্যালু সেই অনুযায়ী সংযোজিত হবে।
  • কমসংখ্যক কর্মী হ্রাস
    কোম্পানির সংস্কৃতি এবং সৃজনশীলতার উদ্ভাবন ও বিকাশের মেল বন্ধনের অর্থ হলো কর্মীরা আরো বেশি সেই কোম্পানির প্রতি আকৃষ্ট হবে।
MAKE AN ENQUIRY

Upload Reports

By clicking Submit, I agree to have read & understood the Terms & Conditions and Privacy Policy of Narayana Health & give my consent to contact me.

Request an Appointment